বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০২:১৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
জেলা বিএনপির সভাপতির মুক্তির দাবীতে রূপগঞ্জে বিএনপির মানববন্ধন ও বিক্ষোভ বদলগাছীতে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত কাঠ মিস্ত্রিকে সহায়তা দিলেন সংসদ সদস্য সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী (সৌরেন)। পরকীয়া জেরে ৭ মাসের অন্তঃসত্তা অবস্থায় প্রথম স্বামীকে রেখে প্রেমিকের হাত ধরে পলায়ন  নওগাঁর বদলগাছীতে জাল সনদধারীকে দিয়ে চাকরি করানোসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ অধ্যক্ষ- সভাপতির বিরুদ্ধে দীর্ঘ ৬ বছর পর ঈদগাঁও উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা  আমি নির্বাচিত হলে আমার ঘোষিত ২৩ দফা ইশতেহার আপনাদেরকে সাথে নিয়ে একটি একটি করে বাস্তবায়ন করবো -ইন্জিঃ রিপন  ঝুঁকিপূর্ণ ৫১ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নিয়ে উপকূলীয় এলাকায় উৎকণ্ঠা পোকখালী ইউপি চেয়ারম্যান রফিক আহমদ কারাগারে রূপসীতে ব্যবসায়ীর দোকানে হামলা,ভাংচুর ডামি নির্বাচন বর্জনে লামায় বিএনপির লিফলেট বিতরণ 

বিপন্ন প্রজাতির গন্ধগোকুল উদ্ধার করে প্রকৃতিতে অবমুক্ত

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, ১১ মার্চ, ২০২৪
  • ১২০ Time View

ওয়াহিদ মুরাদ, বিশেষ প্রতিনিধি–খুলনার দিঘলিয়া উপজেলায় বিপন্ন প্রজাতির গন্ধগোকুল উদ্ধার করে প্রকৃতিতে অবমুক্ত করেছে দিঘলিয়া উপজেলার পরিবেশবাদী সংগঠন আলোর মিছিল। জানা যায়, খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত সুগন্ধি গ্রামের সুগন্ধী রোজ ক্লাবের পাশের মামুন তালুকদারের বড় বাড়ির ভিতরে অদ্য ১১ মার্চ সোমবার সকালে একটি নিরীহ গন্ধগোকুল ফাঁদে আটকা পড়ে । বিষয়টি বাড়ির লোকজন সচেতনতার সঙ্গে দ্রুত গন্ধগোকুলকে উদ্ধারের জন্য পরিবেশবাদী সংগঠন আলোর মিছিলকে ফোনে অবহিত করে। আলোর মিছিলের শেখ তারেক বন্যপ্রাণী উদ্ধার কর্মী মোঃ আকীব হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে তাৎক্ষণিক সেখানে উপস্থিত হয়ে বন্যপ্রাণী গন্ধগোকুলকে সাহসিকতার সঙ্গে সম্পূর্ণ সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে এবং প্রাণীটিকে একটি নিরাপদ জঙ্গলে অবমুক্ত করে । উল্লেখ থাকে যে, বন্যপ্রাণী উদ্ধারকারী কর্মী মোঃ আকিব হোসেন গুইসাপ এবং পাশাপাশি গন্ধগোকুল উদ্ধারে বাংলাদেশের আলোর মিছিল সংগঠনের মধ্যে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছেন।গন্ধগোকুল মূলতঃ একটি নিশাচর প্রাণী। খাটাশের বিভিন্ন প্রজাতির মধ্যে এরাই মানুষের বেশি কাছাকাছি থাকে। দিনের বেলা বড় কোনো গাছের ভূমি সমান্তরাল ডালে লম্বা হয়ে শুয়ে থাকে, লেজটি ঝুলে থাকে নিচের দিকে। মূলত ফলখেকো হলেও কীটপতঙ্গ, শামুক, ডিম-বাচ্চা-পাখি, ছোট প্রাণী, তাল-খেজুরের রসও খায়। অন্য খাদ্যের অভাবে মুরগি-কবুতর ও ফল চুরি করে। এরা ইঁদুর ও ফল-ফসলের ক্ষতিকর পোকামাকড় খেয়ে কৃষকের উপকার করে। গন্ধগোকুল নামের ধূসর রঙের এই প্রাণীটির অন্ধকারে অন্য প্রাণীর গায়ের গন্ধ শুঁকে চিনতে পারার অসাধারণ ক্ষমতা রয়েছে। প্রায় পোলাও চালের মতো তীব্র গন্ধ ছড়িয়ে এরা বিচরণ করে। বিচরণের সময় আশেপাশে খুলনার বিখ্যাত ভাটেল চালের সুবাস ছড়িয়ে পড়ে চারিদিকে। একসময় এর শরীরের গন্ধ উৎপাদনকারী গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত রস সুগন্ধি তৈরিতে ব্যবহৃত হতো। বর্তমানে কৃত্রিম বিকল্পে সুগন্ধি তৈরি হয়। স্ত্রী-পুরুষ নির্বিশেষে গন্ধগ্রন্থির নিঃসরণের মাধ্যমে নিজেদের সীমানা নির্ধারণ করে। মূলত একাকী হলেও প্রজননের সময় স্ত্রী-পুরুষ একত্রে থাকে। বছরে সাধারণত দুবার প্রজনন করে। গর্ভধারণকাল দুই মাসের কিছু বেশি। পুরোনো গাছের খোঁড়ল ছানা প্রসবের উপযুক্ত স্থান। কিন্তু খোঁড়লের অভাবে গাছের ডালের ফাঁকে, পরিত্যক্ত ঘর বা ইটের ভাটা, ধানের গোলা, তাল-সুপারির আগায় ছানা তোলে। প্রতিবার ছানা হয় তিনটি। ছানারা চোখ খোলে ১০-১২ দিনে। মা-গন্ধগোকুল দেহের সঙ্গে লেজ মিলিয়ে একটি বৃত্তের সৃষ্টি করে। ছানারা কখনোই বৃত্তের বাইরে যায় না। প্রায় ছয় মাস বয়সে ছানারা সাবালক হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা বা ছবি অনুমতি বিহীন প্রকাশ করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: সাইবার প্লানেট বিডি
raytahost-tmnews71