সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৪৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
তীব্র তাপদাহে পুড়ছে সমগ্র বাংলাদেশ এর মাঝে বিদ্যুৎ লোডশেডিং  ঢাকা সহ দেশের ৫ জেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা লালমোহনে পুকুর জবরদখল চেষ্টার অভিযোগ বান্দরবান জেলা কাঠ ব্যবসায়ী সমিতির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে সভাপতি-আবুল বাশার,সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী  সোহেল,জনি,রাজ্জাক ও দেলোয়ার চেয়ারম্যান নির্বাচিত : একটিতে ফলাফল নিয়ে ধোঁয়াশা… তৃষ্ণার্তদের পানি তুলে দিলেন লামা পৌরসভা মেয়র মো.জহিরুল ইসলাম ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ এলাকা হতে দেশীয় অস্ত্র ও বিদেশী মদসহ ০২ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০ নওগাঁয় ফেন্সিডিল মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন পটিয়ায় সাংবাদিকদের সাথে  মতবিনিময় করছেন উপজেলা  চেয়ারম্যান প্রার্থী দিদারুল আলম  রশিদ ভাই কাজীম ভাইয়ের ছেলেকে ও শুকুর ভাইয়ের ছেলেকে আপনার হাতে তুলে দিলাম —-ভিপি বাদল 

বিপন্ন প্রজাতির গন্ধগোকুল উদ্ধার করে প্রকৃতিতে অবমুক্ত

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, ১১ মার্চ, ২০২৪
  • ১১৫ Time View

ওয়াহিদ মুরাদ, বিশেষ প্রতিনিধি–খুলনার দিঘলিয়া উপজেলায় বিপন্ন প্রজাতির গন্ধগোকুল উদ্ধার করে প্রকৃতিতে অবমুক্ত করেছে দিঘলিয়া উপজেলার পরিবেশবাদী সংগঠন আলোর মিছিল। জানা যায়, খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত সুগন্ধি গ্রামের সুগন্ধী রোজ ক্লাবের পাশের মামুন তালুকদারের বড় বাড়ির ভিতরে অদ্য ১১ মার্চ সোমবার সকালে একটি নিরীহ গন্ধগোকুল ফাঁদে আটকা পড়ে । বিষয়টি বাড়ির লোকজন সচেতনতার সঙ্গে দ্রুত গন্ধগোকুলকে উদ্ধারের জন্য পরিবেশবাদী সংগঠন আলোর মিছিলকে ফোনে অবহিত করে। আলোর মিছিলের শেখ তারেক বন্যপ্রাণী উদ্ধার কর্মী মোঃ আকীব হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে তাৎক্ষণিক সেখানে উপস্থিত হয়ে বন্যপ্রাণী গন্ধগোকুলকে সাহসিকতার সঙ্গে সম্পূর্ণ সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে এবং প্রাণীটিকে একটি নিরাপদ জঙ্গলে অবমুক্ত করে । উল্লেখ থাকে যে, বন্যপ্রাণী উদ্ধারকারী কর্মী মোঃ আকিব হোসেন গুইসাপ এবং পাশাপাশি গন্ধগোকুল উদ্ধারে বাংলাদেশের আলোর মিছিল সংগঠনের মধ্যে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছেন।গন্ধগোকুল মূলতঃ একটি নিশাচর প্রাণী। খাটাশের বিভিন্ন প্রজাতির মধ্যে এরাই মানুষের বেশি কাছাকাছি থাকে। দিনের বেলা বড় কোনো গাছের ভূমি সমান্তরাল ডালে লম্বা হয়ে শুয়ে থাকে, লেজটি ঝুলে থাকে নিচের দিকে। মূলত ফলখেকো হলেও কীটপতঙ্গ, শামুক, ডিম-বাচ্চা-পাখি, ছোট প্রাণী, তাল-খেজুরের রসও খায়। অন্য খাদ্যের অভাবে মুরগি-কবুতর ও ফল চুরি করে। এরা ইঁদুর ও ফল-ফসলের ক্ষতিকর পোকামাকড় খেয়ে কৃষকের উপকার করে। গন্ধগোকুল নামের ধূসর রঙের এই প্রাণীটির অন্ধকারে অন্য প্রাণীর গায়ের গন্ধ শুঁকে চিনতে পারার অসাধারণ ক্ষমতা রয়েছে। প্রায় পোলাও চালের মতো তীব্র গন্ধ ছড়িয়ে এরা বিচরণ করে। বিচরণের সময় আশেপাশে খুলনার বিখ্যাত ভাটেল চালের সুবাস ছড়িয়ে পড়ে চারিদিকে। একসময় এর শরীরের গন্ধ উৎপাদনকারী গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত রস সুগন্ধি তৈরিতে ব্যবহৃত হতো। বর্তমানে কৃত্রিম বিকল্পে সুগন্ধি তৈরি হয়। স্ত্রী-পুরুষ নির্বিশেষে গন্ধগ্রন্থির নিঃসরণের মাধ্যমে নিজেদের সীমানা নির্ধারণ করে। মূলত একাকী হলেও প্রজননের সময় স্ত্রী-পুরুষ একত্রে থাকে। বছরে সাধারণত দুবার প্রজনন করে। গর্ভধারণকাল দুই মাসের কিছু বেশি। পুরোনো গাছের খোঁড়ল ছানা প্রসবের উপযুক্ত স্থান। কিন্তু খোঁড়লের অভাবে গাছের ডালের ফাঁকে, পরিত্যক্ত ঘর বা ইটের ভাটা, ধানের গোলা, তাল-সুপারির আগায় ছানা তোলে। প্রতিবার ছানা হয় তিনটি। ছানারা চোখ খোলে ১০-১২ দিনে। মা-গন্ধগোকুল দেহের সঙ্গে লেজ মিলিয়ে একটি বৃত্তের সৃষ্টি করে। ছানারা কখনোই বৃত্তের বাইরে যায় না। প্রায় ছয় মাস বয়সে ছানারা সাবালক হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা বা ছবি অনুমতি বিহীন প্রকাশ করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: সাইবার প্লানেট বিডি
raytahost-tmnews71