শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৪:২০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
বাকেরগঞ্জে বিএনপি নেতার বাড়িতে আওয়ামীলীগ নেতার নির্বাচনী অফিস, তৃণমূলে ক্ষোভ নির্যাতিত অসহায় পরিবারের পাশে- ওসি ওয়াজেদ আলী লামায় জমি নিয়ে বিরোধে জের ধরে দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা একজন নিহত, আহত ৭ ঈদগাঁও উপজেলায় টেলিফোনের চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু তালেবের বিজয় দ্বারপ্রান্তে  ফটিকছড়ি নির্বাচনী আচরণ বিধি ভঙ্গের অপরাধে চেয়ারম্যান প্রার্থীর দুই কর্মীকে জরিমানা এম ডব্লিউ স্কুলের অষ্টম শ্রেণীতে পড়ুয়া ১৪ বছরের মোসাম্মৎ স্বপ্না স্কুল ছাত্রীকে হত্যা  ঈদগাঁওতে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রজাপতির মেহেনূর পাখির ব্যতিক্রমী শো-ডাউন  দিঘলিয়ায় নির্বাচনী মাঠে ব্যতিক্রমী প্রচার-প্রচারণা আকৃষ্ট করল ভোটারদের মাটিরাঙ্গায় সর্বজনীন পেনশন স্কিম বিষয়ে হেডম্যান-কার্বারীদের অবহিতকরণ সভা নরসিংদীর দুই এমপি কারাগারে

৩০ বছর ধরে পড়ে আছে স্বাস্থ্য বিভাগের২২টগাড়ি

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ৩১ মার্চ, ২০২৪
  • ৬৬ Time View

মাটি মামুন রংপুর: রংপুর সদর হাসপাতাল সংলগ্ন সিভিল সার্জন ওয়ার্কশপ মাঠে খোলা আকাশের নিচে নষ্ট হচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগের অ্যাম্বুলেন্সসহ ২২টি গাড়ি। বছরের পর বছর ধরে একই জায়গায় অযন্তে-অবহেলায় পড়ে থাকায় চুরি হয়ে গেছে এসব গাড়ির যন্ত্রাংশ। দীর্ঘদিনেও নিলামে বিক্রি করতে না পারায় সরকার হারাচ্ছে কোটি টাকার রাজস্ব। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিদেশি সংস্থা আর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া এই গাড়িগুলো নষ্ট হওয়ার পর মেরামত না করে পরিত্যক্ত ঘোষণা করে তা যত্রতত্র ফেলে রাখা হয়েছে। ফলে দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকা গাড়িগুলো এখন প্রায় অকেজো। এসব যানবাহনের কোনোটি ১৫-২০ বছর আবার কোনটি ৩০-৩৫ বছর ধরে পড়ে আছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকায় বেশিরভাগ গাড়ির ইঞ্জিনসহ যন্ত্রপাতিও নেই গাড়িতে। সুযোগ বুঝে চোরেরা চুরি করে নিয়ে গেছে। এখন শুধু গাড়ির বডিগুলোই পড়ে আছে। ২২টি গাড়ির মধ্যে বেশ কয়েকটি গাড়ি এখনো সংস্কার করার মতো রয়েছে।আর বাকিগুলো নিলামে বিক্রি হলেও কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে জমা হতো। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, আমরা অফিসের লোকজনের কাছ থেকে শুনেছিলাম এসব গাড়ি বিদেশি সংস্থা ইউনিসেফ দিয়েছিল। কিন্তু রংপুরে আনার পর সেভাবে ব্যবহার করা হয়নি। বহুদিন ধরে অযন্ত অবহেলায় পড়ে থাকতে থাকতে এখন গাড়িগুলো অকেজো অবস্থায় রয়েছে। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কয়েকজন কর্মচারীর সঙ্গে কথা হয়।পরিচয় প্রকাশে অনীহা জানিয়ে একজন জানালেন, তার চাকরি হয়েছে ১৯৯১ সালে, তিনি রংপুরে পরের বছর যোগদান করেন। ওই সময় থেকে এসব গাড়ি পরিত্যক্ত অবস্থায় দেখে আসছেন। এরমধ্যে বেশ কয়েকবার এসব গাড়ি নিলামে বিক্রির জন্য সিদ্ধান্ত হয়েছে। জেলা প্রশাসক কার্যালয়, বিআরটিএসহ বিভিন্ন অফিস থেকে লোকজন এসে এসব গাড়ি দেখে গেছে। কিন্তু পরবর্তীতে কোনো অগ্রগতি চোখে পড়েনি। দীর্ঘদিনের পরিত্যক্ত এসব গাড়ি বর্তমানে মাদকসেবীদের আখড়া এবং অর্থের জোগান হয়ে আছে। অকেজো গাড়িগুলো নিলামে বিক্রি আর বাকিগুলো সংস্কার করে জনগণের সেবার আওতায় আনা সম্ভব বলে মনে করেন সুশীল সমাজ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সব নষ্ট হয়ে যাওয়ায় গাড়িগুলো এখন আর নিলামে তোলার অবস্থাতেও নেই। সরকারি গাড়ি বিক্রির জন্য নিলামে তোলার প্রক্রিয়াটা বেশ জটিল ও সময়সাপেক্ষ। এবিষয়ে ৩১শে মার্চ রবিবার রংপুরের সিভিল সার্জন ডা: মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলীর সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন ধরেন নি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা বা ছবি অনুমতি বিহীন প্রকাশ করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: সাইবার প্লানেট বিডি
raytahost-tmnews71