ওয়াহিদ মুরাদ, খুলনা ব্যুরো চীফ–গত ০২ এপ্রিল ২০২৪ খ্রিঃ জনৈক মোঃ সোয়েব মেজবাহ উদ্দিন(৪৮), পিতা-একেএম ছালেম, মাতা-রফিকুন্নাহার, সাং-মাষ্টার কটেজ, ওয়াবদা রোড, থানা-লালমোহন, জেলা-ভোলা, এ/পি-সাং-বাসা নং-৮/ব, প্লট নং-১৮, ব্লক-এফ, বাবর রোড, মোহাম্মদপুর, ঢাকার নিজ নামীয় ফেসবুক আইডি হতে ‘ইলিশের বাড়ী চাঁদপুর’ নামক ফেসবুক গ্রুপ হতে ইলিশ মাছ ক্রয় করার জন্য ‘ইলিশের বাড়ী চাঁদপুর’ ফেসবুক গ্রুপের এ্যাডমিনের এর সাথে যোগাযোগ করে তার কথামতো বিকাশের মাধ্যমে তাকে ১৫,০০০/-(পনের হাজার) টাকা প্রেরণ করেন। উক্ত ফেসবুক গ্রুপের এ্যাডমিন ১৫,০০০/-(পনের হাজার) টাকা বিকাশের মাধ্যমে গ্রহণ করার পর মোবাইল নম্বর বন্ধ করে দেয়। এক পর্যায়ে মোঃ সোয়েব মেজবাহ উদ্দিন(৪৮) বাদী হয়ে ডিএমপি’র মোহাম্মপুর থানায় উক্ত ঘটনার বিষয়ে একখানা সাধারণ ডায়েরী করেন এবং অত্র বিষয়টি খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারকে অবহিত করেন। কেএমপি’র পুলিশ কমিশনারের সার্বিক দিক নির্দেশনা মোতাবেক সহকারি পুলিশ কমিশনার (খুলনা জোন) গোপীনাথ কানজিলালের নেতৃত্বে একটি চৌকস টিম গত ০৬ এপ্রিল ২০২৪ খ্রিঃ ১৮.২০ ঘটিকায় সময় খুলনার সোনাডাঙ্গা মডেল থানাধীন রোড নং-১৩, সোনাডাঙ্গা ২য় আবাসিক এলাকা হতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ‘ইলিশের বাড়ী চাঁদপুর’ ফেসবুক গ্রুপের এ্যাডমিন ১) মো: ফয়সাল আহম্মেদ(২৩), পিতা-মো: ফোরকান খন্দকার, সাং-যাদবপুর, থানা-কালিয়া, জেলা-নড়াইল এবং ২) আনিকা সুলতানা(১৮), পিতা-নজরুল ইসলাম, সাং-মির্জাপুর, থানা-নড়াইল সদর, জেলা-নড়াইলদ্বয়’কে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃতদের নিকট হতে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ০২ (দুই) টি মোবাইল ফোন সহ বিভিন্ন ব্যক্তিদের নিকট হতে প্রতারণা করে নেওয়া টাকার মধ্য হতে ১,০৭,০০০/-(এক লক্ষ সাত হাজার) টাকা উদ্ধার করা হয়। উক্ত গ্রেফতারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় তারা উভয়ে স্বামী-স্ত্রী এবং তারা দেশের বিভিন্ন ব্যক্তিদের নিকট হতে প্রতারণা করে ইলিশ মাছসহ বিভিন্ন মাছ দেওয়ার কথা বলে প্রতারণা করে আসছে। পরবর্তীতে প্রতাণার শিকার জনৈক মোঃ সোয়েব মেজবাহ উদ্দিন এবং ডিএমপি’র মোহাম্মদপুর থানা পুলিশকে অবহিত করা হলে খুলনা থানায় হাজির হয়ে আসামীদ্বয়’কে হেফাজতে গ্রহণ করেন। এ সংক্রান্তে আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে ডিএমপি’র মোহাম্মদপুর থানার মামলা নং-২৬, তারিখ-০৬/০৫/২০২৪ খ্রিঃ, ধারা-৪০৬/৪২০ পেনাল কোড রুজু করা হয়েছে।